ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পঞ্চগড়

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক
আপলোড সময় : ২১-০৯-২০২৪ ০৬:৪৯:৫৪ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২১-০৯-২০২৪ ০৬:৪৯:৫৪ অপরাহ্ন
কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পঞ্চগড়
অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র পঞ্চগড়। পঞ্চগড়ের অন্তর্গত তেঁতুলিয়া দেশের সর্ব উত্তরের উপজেলা। দেশের সর্ব উত্তরের এ উপজেলাতেই রয়েছে দেশের অন্যতম বৃহত্তম স্থলবন্দর। সেখানের বিভিন্ন জায়গা থেকে স্পষ্ট দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা। 

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হতে থাকে পর্বতশৃঙ্গটি। কখনো তা শ্বেত-শুভ্র, কখনো সূর্য-কমলা। সূর্যের আলো পড়তে থাকলে এর সৌন্দর্য দেখে পর্যটকরা চোখ ফেরাতে পারেন না।  পঞ্চগড় ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকা। সেখান থেকে দার্জিলিং ৫৮ কিলোমিটার দূরে। আর, ওই  এলাকা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দূরত্ব ১১ কিলোমিটার। এত কাছে থাকার কারেণ তেতুলিয়া থেকেই এটি দেখা যায়।সাধারণত শীতকালে দূরের মেঘমুক্ত আকাশে ভেসে থাকতে দেখা যায় পাহাড়ের চূড়া। একটু সকাল হলেই রোদের আলোয় চিকচিক করতে থাকে। কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য শীতই সবচেয়ে সেরা সময়।যদিও সারা বছর তেঁতুলিয়া থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সৌভাগ্য হয় না। তাই বছরের যে কোনো সময় না গিয়ে অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়টাতে যাওয়া উত্তম। এই সময়টাতে আকাশ একদম পরিষ্কার থাকে।  এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানের ফাঁকা জায়গায় দাঁড়ালে খুব ভোরে মেঘ ও কুয়াশামুক্ত আকাশ থাকলে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। পাহাড় চূড়ার প্রাকৃতিক দৃশ্যটি সারা দিনের ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন রূপ ধারণ করে।



তেতুলিয়ার মহানন্দা নদীর ওপারে ভারত আর এপারে জেলা পরিষদ কর্তৃক পরিচালিত ভিক্টরিয়ান ধাঁচের ডাকবাংলো, পাশে তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে গড়ে তোলা হয়েছে সুন্দর একটি পিকনিক স্পট। এই ডাকবাংলোর বারান্দা থেকেই দেখা যায় দূরের দিগন্তরেখায় ভেসে থাকতে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা।এছাড়া তেঁতুলিয়ার অন্যান্য জায়গার মধ্যে বাংলাবান্ধা, বাইপাস, ভজনপুর করতোয়া সেতু, ভিতরগড় থেকেও দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘাকে।

যেভাবে যাবেন -

ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনাল, শ্যামলী ও মিরপুর থেকে পঞ্চগড়ের বাস পাওয়া যায়।   টাকা। পঞ্চগড় নেমে লোকাল বাসে করে যেতে হবে তেঁতুলিয়ায়। লোকাল বাস  সব সময় পাওয়া যায়।



এছাড়া ঢাকা থেকে সরাসরি তেঁতুলিয়ার বাস আছে।
কোথায় থাকবেন -

তেতুলিয়া উপজেলায় আবাসিক হোটেলের নন-এসি রুম  এসি ডাবল বেড, সিঙ্গেল বেড হিসাবে কম বেশী  পাওয়া যাবে।

আর মহানন্দা নদীর তীরের ডাকবাংলোতে থাকা যেতে পারে। এই ডাকবাংলোতে কক্ষ প্রতি ভাড়া ৫০০ টাকা। 

বাংলাবান্ধা থাকতে চাইলে স্থলবন্দরের জেলা পরিষদের ডাকবাংলো এবং বন বিভাগের রেস্টহাউস।

আর পঞ্চগড়ে এসে থাকতে চাইলে এখানে আছে সাধারণ মানের আবাসিক হোটেল।   রুম পেয়ে যাবেন।

ভ্রমণ কাঞ্চনজঙ্ঘা

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dinajpur TV

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ